গরমে ত্বকের যত্ন ও শরিরের যত্ন নেয়ার টিপস

গরমে ত্বকের যত্ন ও শরিরের যত্ন

গরমে ত্বকের যত্ন ও শরিরের যত্নঃ বর্তমানে জলবায়ুর বিভিন্ন পরিবর্তনের কারনে পরিবেশের তাপমাত্রা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। খরা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার কারনে প্রচন্ড পরিমানে গরম পড়ছে। আমরা অনেকেই দেখি যে গরমের কারনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আমরা কি যানি কেন গরমের দিনে মানুষ হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ছে। অনেকে ছোটো বাচ্চা আর বয়স্ক মানুষদের নিয়ে টেনশনে পড়ে যায়। আজ আমরা জানবো গরমে মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়ার কারন ও এর প্রতিকার। আরও জানবো এই কাঠ ফাটা গরমে কীভাবে আপনি শরীর ও ত্বকের যত্ন নেবেন। চলুন শুরু করা যাক।

গরমে মানুষের অসুস্থ হয়ে পড়ার কারন ও এর প্রতিকার-

গরমে মানুষের শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে পড়ে, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। তখন শরীরের জন্য প্রচুর পরিমান পানির দরকার পড়ে। আমরা অনেকেই পরিমান মতো পানি খেতে চাই না। যার ফলে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ি। অতিরিক্ত গরমে স্ট্রোক করার ও সম্ভাবনা থাকে। তাৎক্ষনিক চিকিৎসা না করলে অনেকে মারা পর্যন্ত যেতে পারে। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। গরমে ত্বকের যত্ন ও শরিরের যত্ন  এর উপায় থেকে বাচা যেতে পারে।

কখনও যদি দেখেন আপনার পরিচিত বা অপরিচিত কেউ বেশি গরমের কারনে অসুস্থ হয়ে পড়েছে তখন আপনি কি করতে পারেন?
আপনি তার প্রান বাঁচানোর জন্য তাকে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারেন।

গরমে অসুস্থ হয়ে গেলে করনীয়

আপনি যদি দেখেন কোনো ব্যক্তি গরমের কারনে হঠাৎ করে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার শরীর প্রচন্ড ঘামছে। মাথা ঘুড়াচ্ছে বা বমি বমি পাচ্ছে। আপনি তাকে কোনো কথা বললে সে বুঝতে পারছে না বা সে নিজেও কথা বলতে পারছে না। তাহলে বুঝে নিবেন এটা বিপদের লক্ষন। এই সময় যদি তার চিকিৎসা করা না হয় তবে সে স্ট্রোক করতে পারে এবং তার প্রানহানী হতে পারে।

১/আপনাকে প্রথমে তার শরীরে থাকা অতিরিক্ত কাপড় খুলে দিতে হবে।

২/ চেষ্টা করতে হবে রোগীকে ঠান্ডা কোনো পরিবেশে নিয়ে যেতে। সেটা হতে পারে এসির মধ্যে অথবা ফ্যান চলে এমন কোনো রুমে। সেটা সম্ভব না হলে হাতপাখা দিয়ে বাতাস কর‍তে হবে। বাহিরে থাকলে বাতাস আছে এমন খোলা পরিবেশে রোগীকে নিয়ে যেতে হবে।

৩/একটা কাপড়ে কিছু বরফ নিয়ে তা রোগীর ঘাড়,হাত/পায়ের তালুতে ঘষতে হবে। বরফ না পেলে পানি দিয়ে হাত,পা,শরীর ভিজিয়ে দিতে হবে এতে সে ধীরে ধীরে সুস্থতা অনুভব করবে।

এসব করার পরেও যদি দেখেন যে রেগী সুস্থ হচ্ছে না অবস্থার আরও অবনতি হচ্ছে তখন দ্রুত তাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হব।

গরমে শরিরের যত্ন

আমরা এতক্ষন জানলাম অতিরিক্ত গরমে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা প্রাথমিকভাবে কি কি চিকিৎসা তাকে দিতে পারি।
চলুন এবার জেনে নেই কোন কোন উপায় অবলম্বন করলে আমরা এই অসুস্থতা থেকে বাঁচতে পারবো।

১/প্রথমত, প্রচুর পরিমানে পানি পান করতে হবে। যাতে শরীর ডিহাইড্রেট না হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক একজন মানুষের প্রতিদিন কমপক্ষে ৬/৮ গ্লাস পানি পান করা উচিত। গরমে পারলে আরও বেশি পানি খেতে হবে। একবারে এতো পানি খাওয়া সম্ভব না। তাই সারাদিনে একটু পরে পরে অল্প অল্প করে পানি খেতে হবে।

২/ প্রচুর পরিমানে শাক-সবজি খেতে হবে। আমরা অনেকেই শাক-সবজি খেতেই চাই না। বিশেষ করে ছোট বাচ্চারা সবজি একদমই খেতে চায় না। এত ফলে তারা দুর্বল হয়ে পরে। প্রতিদিনের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমানে সবজি খেয়ে হবে।

৩/পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুম সুস্থ থাকার জন্য অনেক বেশি জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৭/৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।

মেয়েদের রুপচর্চা – করার ঘড়োয়া পদ্ধতি ও শরিরের যত্ন

৪/নিয়মিত গোসল করতে হবে। অনেকেই রেগুলার গোসল করে না। এর ফলে শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই রেগুলার গোসল করা জরুরি।

গরমে ত্বকের যত্ন

অতিরিক্ত গরমের কারনে আমাদের ত্বকের অবস্থাও নাযেহাল হয়ে যায়। তাই এবার চলুন জেনে নেই গরমের দিনে কিভাবে আমরা গরমে ত্বকের যত্ন নেবো।
অতিরিক্ত গরমের কারনে আমাদের শরীরের চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়। মাথার চুল শুষ্ক হয়ে যায়।
মুখে দেখা দেয় বিভিন্ন সমস্যা। তাই এখন জেনে নেই এমন কিছু টিপস যেগুলো ফলো করলে আমাদের ত্বকের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যাবে ইন শা আল্লাহ।
প্রথমে কয়েকটি ফেইস প্যাক বানানো শিখে নেই।

ফেইস প্যাক – গরমে ত্বকের যত্ন

এলোভেরা দিয়ে ফেস প্যাকঃ
এলোভেরা দিয়ে ফেস প্যাক বানানো একদম সহজ। গাছের এলোভেরা পাতা ছিড়ে এনে একটি বাটিতে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এতে এলোভেরায় থাকা কস বের হয়ে যাবে।
এরপরে ভালোভাবে ধুয়ে পাতা থেকে পিচ্ছিল অংশগুলো আলাদা কিরে নিতে হবে। এবার পুরো মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১০/১৫ মিনিট। ১০/১৫ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এলোভেরা মুখের অনেক প্রব্লেম দূর করে দেয়।

ডিম দিয়ে ফেস প্যাকঃ
একটা ডিম বাটিতে নিয়ে ভালোভাবে ফেটে নিতে হবে। এবার এর মধ্যে অল্প একটু চিনি দিয়ে আবার নেড়ে সেটাকে মিশিয়ে নিয়ে হবে।
এবার এটাকে পুরোমুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এভাবে কিছুদিন ব্যাবহার করলে মুখের শুষ্ক ভাব দূর হয়ে যাবে।

মুসুরি ডালের মাস্কঃ
মুসুরি ডাল ভিজিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে। পুরো মুখে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।

বিকালের নাস্তার সহজ রেসিপি  

চুলের যত্ন-
চলুন এবার জেনে নেই চুলের যত্ন নাওয়ার কিছু টিপসঃ-

মেহেদিঃ
চুলের যত্নে মেহেদি পাতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মেহেদি চুলের ঝরে যাওয়া রোধ করে। চুলকে গোড়া থেকে মজবুদ করে। চুলের পাক ধরা রোধ করে। মেহেদি পাতা বেটে চুলে লাগাল মাসে অন্তত ২ বার এতে আপনার চুলের সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

এলোভেরাঃ
এলোভেরা কিন্তু চুলের শুষ্ক ভাব দূর করে।
চুলকে সিল্কি করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।
নিয়মিত এলোভেরা চুলে লাগান দেখবেন আপনি অনেক উপকার পাবেন।

ভাতের মাড়ঃ
ভাতের মাড় চুলের অনেক সমস্যা দূর করে। ভাতের মাড় নিয়মিত চুলে লাগালে চুলের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যাবে। গরমে ত্বকের যত্ন এর জন্য এটি ব্যাবহার করতে পারেন।

About admin

Check Also

অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেলে কী হয়?

অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেলে কী হয়?

যদি কেউ না জানেন যে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেলে কী হয়? তাহলে এই পোস্ট আপনার …