জানাজার নামাজের নিয়ম ও বিস্তারিত জেনে নিন ১ পোষ্টে

জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজের নিয়মঃ মানুষের মৃত্যুর পরে তার জীবনের শেষ নামাজ হচ্ছে জানাযার নামাজ। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ কারি যারা রয়েছে তাদের শেষ গোসল এবং শেষ নামাজ হচ্ছে জানাজার নামাজ। আমরা জানি, যার মধ্যে জিবন রয়েছে তার মৃত্যু বরন করতেই হবে। যে কোনো প্রাণী হোক বা মানুষ জীবন আছে তো মৃত্যু অবধারিত। খাটি মুসলমান যারা তাদের মৃত্যু হলো উপহার স্বরুপ। নবী করিম (সঃ) বলেন খাটি মুমিন বান্দার মৃত্যু হবে এমন ভাবে যেন মা তার বাচ্চা কে দুধ পান করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিয়েছেন।তাই আমরা যারা মুসলিম তারা যেন আল্লাহর হুকুম মেনে চলতে পারি আর মৃত্যু কে উপহার স্বরুপ বরন করে নিতে পারি। আমিন।

আজকে আমরা জানাজার নামাজ সম্পর্কে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ। জানাজার নামাজ কি?  জানাজার নমাজ কেন আদায় করতে হয়?  নামাজের নিয়ম কি? জানাজার নমাজের নিয়ত কি? জানাজার নামাজের ফজিলত কি?  এ সব বিষয় আজকে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

জানাজার নমাজ কি

প্রত্যেক প্রাণী মৃত্যুশীল কোন প্রাণী চিরণজীব নয় সকল প্রাণী কে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। ইসলাম ধর্ম যারা মানে এবং গ্রহণ করেছেন তাদের মৃত্যুর পরে অনুষ্ঠানিক ভাবে যে দোয়া করা হয় বা শেষ বিদায়ের সময় সবাই একত্রিত হয়ে তাকে বিদায় দেওয়ার সময় আল্লাহর কাছে তার ক্ষমার উদ্দেশ্যে যে দোয়া করা হয় তাকে বলা হয় জানাজা। আমরা এটা কে জানাজার নামাজ বলে থাকি।  এটা হলো ফরজে কেফায়া নামাজ। যে এলাকায় লোক মারা যাবে তার ওই এলাকার লোক এ নামাজে অংশ গ্রহণ করা অবশ্যক। তবে প্রতি বংশ বা প্রতি গোত্র থেকে কম পক্ষে এক জন মুসলিমকে এ নামাজে অংশ গ্রহণ করতে হবে, তাহলে অন্য সকলের হক ও পূরন হয়ে যাবে।

আরো পড়ুন- তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম – 2022

জানাজার নামাজের নিয়ম

জানাজার নামাজ হলো ফরজে কেফায়া নামাজ। যে ব্যক্তিকে জানাজা করানো হবে নামাজের পূর্বে তার মাথাকে কেবলা মুখি করে দিতে হবে। এর পরে মৃত্যু ব্যক্তি যদি পুরুষ হয় তবে ইমাম সাহেব মৃত্যু ব্যক্তির মাথার কাছে দারাবেন আর যদি মৃত্যু ব্যক্তি মহিলা হয় তাহলে মৃত্যু ব্যক্তির মাজ বরাবর দাড়িয়ে নামাজ শুরু করবেন। জানাজার নামাজ সম্পুর্ন দাড়ানো অবস্থায় আদায় করতে হয়। এর মধ্যে চার তাকবীর বলে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হয়।

জানাজার নামাজের নিয়ত

জানাজার নামাজের নিয়ত আরবি তে পড়া উত্তম তবে এটা বাংলায় ও পরলে হবে। আমরা যেহেতু বাঙালি তাই আমরা বাংলায় শিখলেই সহজ হবে। তবে যারা পারবেন তাদের জন্য আরবির উচ্চারণ দিয়ে দাওয়া হবে।

আরবী নিয়তঃ “نَوَيْتُ اَنْ اُؤَدِّىَ لِلَّهِ تَعَا لَى اَرْبَعَ تَكْبِيْرَاتِ صَلَوةِ الْجَنَا زَةِ فَرْضَ الْكِفَايَةِ وَالثَّنَا ءُ لِلَّهِ تَعَا لَى وَالصَّلَوةُ عَلَى النَّبِىِّ وَالدُّعَا ءُلِهَذَا الْمَيِّتِ اِقْتِدَتُ بِهَذَا الاِْمَامِ مُتَوَجِّهًا اِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الشَّرِ يْفَةِ اَللَّهُ اَكْبَرُ”

বাংলা উচ্চারণঃ “নাওয়াইতু আন উয়াদ্দিয়া লিল্লাহে তায়ালা আরবা আ তাকবীরাতে ছালাতিল জানাজাতে ফারজুল কেফায়াতে আচ্ছানাউ লিল্লাহি তায়ালা ওয়াচ্ছালাতু আলান্নাবীয়্যে ওয়াদ্দোয়াউ লেহাযাল মাইয়্যেতে এক্কতেদায়িতু বিহাযাল ইমাম মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কাবাতিশ শারিফাতে আললাহু আকবার।”

আরো পড়ুন-জুমার নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত

বাংলায় নিয়তঃ আল্লাহর রাস্তায় চার তাকবিরে ফরজে কেফায়া জানাযার  নামাজ কিবলা মুখি হয়ে এই ইমামের পিছনে মৃত্যু ব্যক্তির জন্য দোয়ার উদ্দশ্যে  আদায় করিতেছি আল্লাহু আকবর।

জানাজার নামাজের ফজিলত

জানাজার নামাজ হলো ফরজে কেফায়া নামাজ এটি একটি অতিরিক্ত ফজিলত পূর্ণ নামাজ। যে ব্যক্তি এ নামাজে অংশ গ্রহণ করবে নবী করিম সঃ বলেন তার আমল নামায় ওহুদ পাহার পরিমান সওয়াব দান করা হবে।আর যদি ঐ ব্যক্তি জানাযার নামাজ শেষ করে দাফন দেওয়া পর্যন্ত থাকে তাহলে তার আমল নামায় দুই কেরাত পরিমান সওয়াব দান করা হয়। কেরাত মানে হলো ওহুদ পাহার পরিমান সওয়াব। এক কেরাতে একটি ওহুদ পাহার পরিমান ওজনের সওয়াব দান করা হয়।সুবহানাল্লাহ। নবী করিম সঃ বলেন যে মৃত্যু ব্যক্তির জানাযা পরা হয় তার জানাযার নামাজে যদি ৪০ জন এমন ব্যক্তি থাকে যে কোন সিরিকের গুনা করে নায় তাহলে আল্লাহ তায়ালা ঐ মৃত্যু ব্যক্তির গুনা মাফ করে দেয়, সুবহানাল্লাহ।

শেষ কথা

জানাজার নামাজের নিয়মঃ আমাদের পাড়া প্রতিবেশী যদি কেহ মারা যায় তাহলে আমাদের তার জানাযার নামাজে অংশ গ্রহণ করা উচিত কেননা এতে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে ফজিলত। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন যেন আমাদের কে মুমিন হয়ে মৃত্যু দান করেন আমিন।

About admin

Check Also

জুমার নামাজের নিয়ত

জুমার নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত

আপনি যদি জুমার নামাজের নিয়ত না জানেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। জুমার নামাজ প্রতি …