পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ আছে কিনা জেনে নিন – 2023

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ না নাজায়েজ এ বিষয় কোন দলিল হাদিস বা কোরআনে আসেনি। তবে আমাদের কেবলা যেহেতু পশ্চিম দিকে আমরা পশ্চিম দিকে ফিরে নামাজ পরি আর কাবা ঘর আমাদের দেশ থেকে পশ্চিমে তাই আমাদের উচিত পশ্চিম দিকে পা না দিয়েই ঘুমান বা বসা। এ বিষয় নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

Table of Contents

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ আছে?

আজকে আমরা আলোচনা করবো পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো জায়েজ আছে কিনা এবং পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসা ঠিক কিনা এ বিষয় কুরআন হাদিস কি বলে এর কোন দলিল আছে কিনা এস বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাআল্লাহ।

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে বসা বা ঘুমানো নাজায়েজ নয় কিন্তু আমরা মুসলমান আমাদের দেশের কেবলা হলো পশ্চিম দিকে, কিন্তু দেখা যায় অন্য অন্য দেশের কেবলা উত্তর দিকে হয় দক্ষিণ দিকে হয় আবার পর্বে দিকেও হয় দিক যেটাই হকো না কেন এটা কিন্তু কোন বিষয় না আমাদের দেশের কেবলা হলো পশ্চিম দিকে তাই আমরা পশ্চিম দিকে ফিরে নামাজ আদায় করি।

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসা জায়েজ আছে কিনা?

পশ্চিম দিকে পা দিয়ে ঘুমানো বা বসা জায়েজ আছে কিনা বা এতে কোন পাপ হয় কিনা এ বিষয় কোন হাদিস বা কুরআনের কোন আয়াত নাজিল হয় নি। কিন্তু দেখা যায় পশ্চিম দিকে ফিরে থুথু ফেলানো নাজায়েজ এ বিসয়ে হাদিস ও রয়েছে। আবার পশ্চিম দিকে ফিরে বা পশ্চিম দিকে পিঠ ফিরিয়ে পায়খানা প্রসাব করাও জায়েজ নায়।

আরো পড়ুন-  ঈদে মিলাদুন্নবী ২০২২ কত তারিখ – জেনে নিন সঠিক ভাবে

এ বিষয় ও সহিহ হাদিস রয়েছে। কিন্তু পা দেওয়া নাজায়েজ এ বিষয় কোন হাদিস নেই কোন নিষিদ্ধ নেই। আমরা ঘুমানো অবস্থায় অনেক সময় পশ্চিম দিকে পা চলে যায় বেখেয়ালে আবার অনেক সময় বসা অবস্থায় ও পা চলে যায় পশ্চিম দিকে এতে কোন পাপ হয় না।

কিন্তু যেহেতু আমাদের কেবলা পশ্চিম দিকে তাই আমাদের উচিত কেবলার সম্মানে পশ্চিম দিকে সজ্ঞানে পা না দেওয়াই ভালো এতে আমাদের কেবলার অসম্মান হয়। কিন্তু এ বিষয় কোন দলিল নেই তবে এটা আমাদের বিবেকের কথা। কিন্তু কেহ যদি পশ্চিম দিকে পা দিয়ে কেবলার অসম্মান করতে চায় তাহলে তার অবশ্যই গুনাহ হবে, কেননা নবী করিম সঃ বলেন,  যে ব্যেক্তি কেবলার অসম্মান করল সে যেন আমাকে অসম্মান করল। তাই আমাদের উচিত কেবলার সম্মানে পশ্চিম দিকে পা না দিয়ে কেবলাকে সম্মান দেখানো।

আরো পড়ুন- ঈমান ভঙ্গের কারণ – যে কাজ গুলো থেকে বিরত থাকা উচিৎ? 2022

এ ব্যাপারে আলেম গনের মতামত

শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উছাইমীনও (র.) বলেন,

কিবলার দিকে পা দিয়ে ঘুমাতে বা বসতে কোনো দোষ নেই।’ তবে কিবলা ও কাবা অত্যন্ত মর্যাদাবান দু’টি বিষয়। এগুলো ইসলামের শিআর বা নিদর্শনের অন্তর্ভুক্ত। এগুলোকে কোনোভাবে অসম্মান করা, অবজ্ঞা করা বা এগুলোর প্রতি কোনো অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করা মহা অন্যায়।

শেষ কথা

আমাদের সমাজে এ বিষয় অনেক মতামত বা এ বিষয় অনেক মতোভেদ রয়েছে। এগুলোর দিকে আমরা না চেয়ে আমাদের উচিত কেবলার সম্মানে নিজের বিবেক কি বলে বা পশ্চিম দিকে পা দিয়ে কি ঠিক। আমরা আজকের আলোচনায় যেটুকু বুঝতে পেরেছি তাতে আমাদের উচিত কেবলার সম্মানে পশ্চিম দিকে পা না দিয়ে থাকাটাই ভালো এবং উত্তম এতে করে কেবলাকে সম্মান দেখানো হয়। আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন আমাদের কে সরল ও সঠিক পথে চলার তাওফিক দান করুন আমিন। আর কেবলার সম্মানে রক্ষা করার জন্য আমাদের যা করার দরকার তা যে আমরা যথাযথ ভাবে পালন করতে পারি এই তাওফিক মহান আল্লাহ আমাদের দান করুন আমিন।

আরো পড়ুন- বিপদের দোয়া – অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে বিপদে পড়লে কোন দোয়া পড়া উচিৎ? 2022

About admin

Check Also

জুমার নামাজের নিয়ত

জুমার নামাজের নিয়ত, নিয়ম ও ফজিলত সম্পর্কে বিস্তারিত

আপনি যদি জুমার নামাজের নিয়ত না জানেন তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। জুমার নামাজ প্রতি …