পুস্প আপনার জন্য ফোটেনা- ভাবসম্প্রসারণ বাংলা ২য় পত্র

ভাবসম্প্রসারণ- পুষ্প আপনার জন্য ফোটেনা

মূলভাব:

পৃথিবীর প্রতিটি প্রাণী একে অপরের উপকার করার জন্য ই সৃষ্টি হয়েছে।
একে অপরের উপকার করা ব্যতীত কেউ বাঁচতে পারে না। একের অপরকে দরকার। আর এভাবেই এই পৃথিবী সুন্দর ভাবে পরিচালিত হবে।
তাই সকলের উচিত শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা না করে অন্যের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দাওয়া তাহলে এমনিতেই নিজে ভালো থাকবে।

সম্প্রসারিত ভাব:

একটি গাছে যখন ফুল ফোটে সেটা তার নিজের জন্য ফোটে না।অপরের জন্য ফোটে।তার সৌন্দর্য,ঘ্রান দিয়ে অপরকে মোহিত করে রাখে।
শুধু ফুল কেনো? ফল ও সে অপরকেই দেয়।তার নিজের জন্য দেয় না। গাছের এই ফল প্রানীরা খায়।তাদের উপকার সাধন হয়।এটাই গাছের স্বার্থকতা।
তেমনই আমরা যদি আমাদের আশেপাশে খেয়াল করি দেখতে পাবো যে পৃথিবীর প্রত্যেকটি প্রানী নিজেত জন্য বাঁচে না।অপরের উপকার সাধনের মধ্য দিয়েই সে বেঁচে থাকে।

এখানে পুষ্প আপনার জন্য ফোটেনা কথাটি দ্বারা মুলত এটাই বোঝানো হয়েছে যে,
আমদের নিজের জন্য না বেঁচে অপরের জন্য বাঁচা উচিত। তাহলেই আমরা নিজেরাও ভালো থাকতে পারবো। আমরা যদি শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করি তাহলে একসময় পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।

কামিনী রায়ের কবিতায় আছে,,,,

“পরের কারনে স্বার্থ দিয়া বলি
এ জীবন মন সকলি দাও,
তার মত সুখ কোথাও কি আছে?
আপনার কথা ভুলিয়া যাও।
পরের কারনে মরনেও সুখ
‘সুখ-সুখ’ করি কেঁদো না আর;
যতই কাঁদিবে যতই ভাবিবে,
ততই বাড়িবে হৃদয়-ভার।
আপনারে লয়ে বিব্রত রহিতে
আসে নাই কেহ অবনী পরে
সকলের তরে সকলে আমরা
প্রত্যেকে আমরা পরের তরে”

কবিতার প্রত্যেকটি লাইনেই প্রকাশ পেয়েছে পরের জন্য নিজেকে বিলীন করে দাওয়ার মনোভাব।শুধু কামিনী রায় নয়।আমাদের আরও অনেক কবিরাই,সাহিত্যিক রা তাদের লেখার মাধ্যমে মানুষকে পরের উপকার করের তাগিদ দিয়েছেন।

সমাজের দরিদ্র, অসহায় মানুষের পাশে থেকে তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। তারা যাতে ভালো ভাবে বাঁচতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে। একে অপরের বিপদে আপদে পাশে থাকতে হবে।তাহলেই সবাই ভালো থাকতে পারবে।

অপরের কোনো উপকারে না এসে শুধুমাত্র নিজের স্বার্থের কথা চিন্তা করা মানুষ জাতির বৈশিষ্ট্য হতে পারে না।আমাদের নবী-রাসূল গনও আমাদের পরের জন্য নিজেকে উজাড় করে দাওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন।এটাই মনুষ্যত্বের আসল বৈশিষ্ট্য।তাই আমরা সকলেই একে অপরের উপকারে,প্রয়োজনে পাশে থাকবো। তাহলে নিজেরাও যেমন ভালো থাকবো তেমনি এই পৃথিবীর সবাই সুন্দর ভাবে বাঁচতে পারবে।

মন্তব্য :
শুধুমাত্র নিজের জন্য বেঁচে থাকা,নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করার মাধ্যমে কখনোই মানব কল্যাণ হতে পারে না। আর না নিজের কল্যান হতে পারে।
তাই একে অপরের জন্য নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে।

সরকারি নার্সিং কলেজের তালিকা – কোন কলেজে কত সিট আছে?

About admin

Check Also

বিবাহের ছুটির জন্য আবেদন

বিবাহের ছুটির জন্য আবেদন পত্র এর নমুনা (আপডেটেড নমুনাপত্র)

বিবাহের ছুটির জন্য আবেদন কিভাবে লিখবেন? নিজের বিবাহ অথবা নিজের পরিবারের কারো বিবাহ এর ক্ষেত্রে …