প্রেম ভাল না খারাপ – মেয়েরা কিভাবে ভালবাসা প্রকাশ করে?

প্রেম করা ভাল না খারাপ – প্রেম ভালবাসা এ নিয়েই আমাদের পৃথিবী। বর্তমান সময়ে প্রেম ভালবাসা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রেমের ভালো খারাপ দুই দিক এই রয়েছে। প্রেম করা ভাল না খারাপ এটি অনেকেই খুজে থাকেন।

প্রিয় পাঠকগন- আপনি নিশ্চয়ই খুজছেন প্রেম করা ভাল না খারাপ এ সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো একটি আর্টিকেল যেখান থেকে সব কিছুই জানতে পারবেন। তাই আমরা আমাদের আজকের আর্টিকেলে লিখতে চলেছি প্রেম করা ভাল না খারাপ এ সম্পর্কে

প্রেম করা ভাল না খারাপ

প্রেম করা কতটুকু খারাপ বা ভালো হবে এটা নির্ভর করে অনেক কিছু বিষয়ের উপর। যদি আপনি ধর্মিয় ব্যাখ্যা খুজতে যান সেখানে প্রেম হলো জেনার সমতূল্য। তবে বর্তমান পৃথিবীতে প্রেম করে না এমন মানুষের সংখ্যা বোধহয় অনেক বেশী কম।

প্রেম করা ভাল না খারাপ নির্ভর করে বয়স এর উপর ডিপেন্ড করে। সাধারণত প্রেমের বয়স শুরু হয় মাধ্যমিক স্কুল জীবন থেকে কর্মজীবন পর্যন্ত। এর মাঝে বিভিন্ন ধরণের পরিবেশগত বাধা- সমস্যা থাকে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় কলেজ লাইফের প্রেম গুলো ভার্সিটি লাইফে মারাত্নক ভাবে প্রভাব ফেলে। আবার স্কুল এর বয়সী প্রেম গুলোতে নানা ধরণের সমস্যার স্বীকার হতে হয়। মূলত কর্মজীবনের প্রেম গুলো শেষ পরিনতি ভালো হয় বা বিয়ে পর্যন্ত যায়।

মানুষের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ম্যাচুরিটি লেভেল বাড়তে থাকে। যার ফলে যে প্রেম গুলো স্কুলে শুরু হয় সেটা কর্মজীবনে স্থায়ী হতে দেখা যায় অনেক কম। প্রেম ভাল না খারাপ এটা বলতে গেলে বলা লাগে আপনি কোন বয়সে প্রেম করছেন এটার উপর নির্ভর করে।

প্রেমের খারাপ দিক

যদি আপনি হাই স্কুল বা কলেজে লেভেলের কোনো শিক্ষার্থী হোন তাহলে আপনার জন্য প্রেমের উপকারিতার চেয়ে ক্ষতি অনেক বেশি হয়। এটা এমন একটা বয়স যেখানে আপনাকে প্রচুর পরিমান সময় লেখাপড়ায় দিতে হবে।

ভবিষ্যতে আপনি কি করবেন বা কর্মজীবন আপনার কেমন কাটবে এটা অনেকটাই নির্ভর করে স্কুল ও কলেজ লাইফে। প্রেম কে অনেকেই নিয়ন্ত্রিত করতে পারেন না। এর জন্য লেখাপড়ার দিক একেবারেই শেষ করে ফেলেন।

আবার কর্মজীবনেও যদি প্রেম করে বিয়ে করেন বেশিরভাগ দেখা যায় এ ধরণের প্রেমের বিয়ে অনেক পরিবার মেনে নিতে পারেনা। যার কারনে দীর্ঘ একটা সময় পর্যন্ত পারিবারিক কলহ লেগেই থাকে। কর্মজীবনে প্রেম করার ক্ষেত্রে কোনো পিছুটান থাকে না।

মানুষের পছন্দের ব্যাপার টাও বুঝতে পারে ভার্সিটি লাইফে। সে কিরকম পছন্দ করে বা কোন ধরণের মানুষ ভালো খারাপ। এ ধরণের বিবেচনা করার মানুষিকতা বা ম্যাচুরিটি স্কুল বা কলেজ জীবনে আসেনা। শুধু আবেগ দিয়ে পছন্দ হতে পারে তবে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত পথ চলা অনেক কঠিন হয়ে পরে।

ধর্মিয় দিক বিবেচনা করলেও বিয়ের আগে কোনো প্রকার সম্পর্কে জরানো হলো হারাম। তো আপনি যদি সব দিকে বিবেচনা করে দেখেন তাহলে স্কুল- কলেজ জীবনে প্রেম না করাই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হবে আপনার জন্য।

প্রেম করার উপকারিতা

বলা হয়ে থাকে মানুষের জীবনে প্রেম আসলে সে স্বপ্নে ভ্রমন শুরু করে। একটা মানুষের জীবনে প্রেম যখন আসে তখন তার সকল আবেগ গুলো ডানা মেলে উড়তে শুরু করে। প্রেমে পরার পরে আপনি নির্দিষ্ট একটি মানুষ কে নিয়ে বাচতে শিখবেন।

জীবনের চরম হতাশা দুর্দশার সময়ে পাশে থাকার মানুষের অনেক অভাব দেখা যায়। এ সব সময় গুলোতে আপনার প্রিয় মানুষ থাকা আপনার অনেক বড় একটি পাওয়া হয়ে দাঁড়ায়।

জীবনে চলার পথ গুলো আরো বেশি সহজ হয়। আপনি আপনার সকল কথা, স্বপ্ন সব কিছু শেয়ার করার মত মানুষ পাচ্ছেন। মানুষিক উদ্দিপনা বা মানুষিক ভাবে শান্তি পাওয়ার জন্য প্রেম যথেষ্ট উপকারি

প্রেম করা কি জায়েজ

ইসলামের দৃষ্টিতে প্রেম একদম হারাম জিনিস। বিবাহের পূর্বে এক সাথে কথা বলা, হাসাহাসি করা, চ্যাট করা, স্পর্শ করা, ডেটিং করা একেবারেই নিষিদ্ধ। এই সকল প্রেম হলো শয়তানের ফন্দি। এসব কিছুর মাধ্যমে মানুষ জেনার দিকে ধাবিত হয়ে যায়।

এ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন এ আল্লাহ বলেন-

হে রাসুল, আপনি মুমিনদের কে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য রয়েছে খুব পবিত্রতা। নিশ্চয়ই তারা যা করে আল্লাহ তায়ালা সে ব্যাপারে খবর রাখেন।
(সূরা নুর- আয়াতঃ ৩০)

উক্ত আয়াত দ্বারা বোঝা যায় প্রতিটি মুসলিম উম্মাহের জন্য বিবাহ পূর্বে অবৈধ সম্পর্ক গুলো একেবারেই হারাম। এটি কে হালাল বলার কোনো সিস্টেম নেই।

ভালোবাসা কিভাবে হয়

প্রেম ও ভালবাসার মধ্যে সাধারণ কিছু পার্থক্য রয়েছে। প্রথমত, মানুষ যখন প্রেমে পরে তখন ভালো লাগে। ভালা লাগা দিয়েই মানুষের পছন্দ হয়ে উঠে অপর মানুষটি কে। বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রেমের ব্যাখা করলে দাড়ায়- যখন কোনো ছেলে কোনো মেয়েকে পছন্দ করে ফেলে তখন টেসট্রোন হরমোন নিঃসৃত হয়।

ঠিক একই ভাবে যখন কোনো মেয়ে কোনো ছেলের প্রেমে যায় তখন ইস্ট্রোজেন হরমোন নিঃসৃত হয়। বিজ্ঞানিরা বলে যে ভাললাগা পছন্দ ভালবাসার ক্ষেত্রে এড্রিনালিন, ডোপামিন ও সেরোটোনিন নিউরোট্রান্সমিটার জড়িয়ে আছে।

প্রেম করা ভাল না খারাপ
প্রেম করা ভাল না খারাপ

ভালবাসা বলতে দুইটি মনের মিলবন্ধন কে বুঝায়। ধরুন – আপনি কোনো মেয়ে- ছেলে কে পছন্দ করলে সে ভালো গান করে এজন্য। কিন্তু যখন ছেলেটির গান গাওয়ার আর কোনো সিস্টেম থাকবেনা তখন কি আপনার সেই মানুষটির জন্য একই ধরণের আবেগ রাখতে পারবেন?

এর উত্তর যদি “না” হয় তবে আপনি ভালবাসেন নি। প্রেম হয় সাময়িক কিছু পছন্দের উপর নির্ভর করে। প্রেমের পরেই ধিরে ধিরে ভালবাসা বাড়তে থাকে। মায়া, হাসি, কান্না সব ক্ষেত্রেই যখন আপনি আপনার মানুষটির ভরসা আশা করেন তাকে চান তখন সেটাকে ভালবাসা বলা যায়। তবে ভালবাসার মূল হলো – বিশ্বাস।

মেয়েরা কিভাবে ভালবাসা প্রকাশ করে

মেয়েদের ভালবাসা প্রকাশ করার ধরণ ছেলেদের চেয়ে একবারেই আলাদা। খুব কম ছেলেই এটা বুঝতে পারে। তবে আপনার প্রেমে যদি কোনো মেয়ে পরে তাহলে বিভিন্ন উপায় আপনি সেটা অনুভব করতে পারবেন।

প্রেম করা ভাল না খারাপ
প্রেম করা ভাল না খারাপ

মেয়েটার ব্যবহারে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন যে সে আপনাকে পছন্দ করে। আপনাকে সম্মান করবে। আপনার কি ভালো লাগে এমন বিষয় গুলো আপনার সামনে করার চেষ্টা করবে। আপনার কোনো কিছু নিয়ে মন খারাপ থাকলে আপনাকে ভালো করার চেষ্টা করবে। আপনি কোনো সমস্যার মধ্য দিয়ে গেলে সেটা সমাধান করার চেষ্টা করবে ইত্যাদি।

এরকম বিভিন্ন সিন্টম দেখে বুঝতে হবে। সবার ক্ষেত্রে যে একই হবে এমন নয়। মানুষের ভিন্নতার পাশাপাশি সবার সব কিছু প্রকাশের ধরন ও ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনাকেই অনুভব করতে হবে বুঝে নিতে হবে।

আমাদের শেষ কথা

প্রেম ভাল না খারাপ আর্টিকেলে প্রেমের সম্পর্কে কিছু পরিমান লেখার চেষ্টা করছি। সবার ক্ষেত্রে প্রেমের সংজ্ঞা নাও মিলতে পারে। যুগে যুগে অসংখ্য মানুষ প্রেম কে ভিন্ন ভিন্ন ভাবে সংজ্ঞায়িত করে গেছেন। আমি তো ছোট একজন ব্লগ লেখক। লেখায় কোনো ভুল থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো।

যদি এর পরেও জিজ্ঞেস করেন প্রেম ভালো না খারাপ তাহলে বলব আপনি কর্মজীবনে প্রেম করুন অসংখ্য ভালো দিক পাবেন। প্রিয় মানুষ হারায় ফেলার মত চিন্তা আপনার মাথায় কম আসবে। ক্যারিয়ার ফোকাস করে পরতে পারবেন। প্রেম করলে পড়া যায়না এমন না তবে বেশিরভাগ দেখা যায় শিক্ষা জীবন নস্ট করে ফেলে। আশা করি বোঝাতে পেরেছি আপনাদের।

About admin

Check Also

অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেলে কী হয়?

অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেলে কী হয়?

যদি কেউ না জানেন যে অতিরিক্ত ঘুমের ঔষধ খেলে কী হয়? তাহলে এই পোস্ট আপনার …