ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়– বর্তমান সময়ে অন্যতম জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক হয়ে উঠছে মানুষের জীবনের অন্যতম অনলাইন বিনোদনের স্থান হিসেবে। মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুকে ০৫ মিনিট স্ক্রল করলেন অথচ দেখলেন যে কয়েক ঘন্টা পার হয়ে গেছে। ফেসবুক প্রতিদিন ব্যবহারে এটি নেসার মত আসক্ত করে ফেলে।
ফেসবুক ব্যবহার করে আমরা অনেকের সাথেই যোগাযোগ রাখতে পারি। বর্তমানে কাউকে ফোন দিয়ে তার খবর রাখার চেয়ে ফেসবুকে মাত্র কয়েকটি টেক্সট এর মাধ্যমে খোজ খবর নেয়াটা অনেক বেশি সহজ। কিন্তু বিপত্তি তখনি ঘটে যখন, আপনি ফেসবুক নয় ফেসবুক আপনাকে ব্যবহার করা শুরু করে দেয়। এটাই মূলত ফেসবুকে আসক্তির লক্ষন গুলোর মধ্যে সবচেয়ে কমন একটি সমস্যা।
সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে ফেসবুকে ঢু মারতে মারতে কখন যে বেলা ফুরিয়ে যায় সে খেয়াল আর থাকেনা। বর্তমান সময়ে ফেসবুক আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় গুলো অপচয় করে। ফেসবুক থেকে আমাদের অর্জন হয়ত কিছুই না অথচ আমাদের এই ছোট্র জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেটি “সময়” সেটি আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে অপচয় করতে থাকি।
প্রিয় পাঠক, আপনি নিশ্চয়ই একজন ফেসবুক আসক্ত ব্যাক্তি। তা না হলে আপনি ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় আর্টিকেল টি পড়ার জন্য কখনোই আসতেন না। অল্প কিছু সময় নিয়ে পড়ে নিন। আপনি যদি ফেসবুকে অতিরিক্ত আসক্ত হয়ে পড়েন তবে আর্টিকেল টি আপনাকে বের হতে সহায়তা করবে আশা করি।
ফেসবুক আসক্তি কি
কোনো কিছুর প্রতি প্রবল টান অনুভব করাটাই একটা আসক্তি। আমরা মানুষ হিসেবে প্রচন্ড অলস এবং আমাদের নেগেটিভ জিনিসের উপর আগ্রহ অনেক বেশি থাকে। ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলোর মধ্যে ফেসবুক আসক্তি আপনার মধ্যে বিরাজমান কিনা সেটা নিশ্চিত করতে পারলে আপনি সহজেই বের হতে পারবেন।
কোনো একটা কাজ প্রতিদিন করলে সেটার একটা অভ্যাস আমাদের মধ্যে চলে আসে। যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আপনি ফেসবুক ব্যবহার শুরু করলেন অতঃপর দেখা গেল আপনি প্রতিদিন কোনো কারণ ছাড়াই অতিরিক্ত পরিমানে ফেসবুক ব্যবহার করছেন।
আপনার ইচ্ছা না থাকা সত্তেও আপনি শুধু শুধু ফেসবুকে স্ক্রল করছেন, বিভিন্ন পোষ্ট পড়তেছেন অথবা ভিডিও দেখতেছেন। বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফেসবুক ব্যবহারকারী স্কুল কিংবা কলেজ ধাপের ছাত্র-ছাত্রী। ছাত্রবস্থায় প্রচুর পরিমানে পড়াশোনা করতে হয়। ফেসবুকে যদি প্রতিদিন ০৮ থেকে ১০ ঘন্টা ব্যয় হয়ে যায় তবে সেটা পড়াশোনার উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে।
সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম গুলোর একমাত্র চাহিদা হলো মানুষের সময়। মানুষ যত বেশি সময় তাদের প্লাটফর্ম গুলোতে ব্যয় করবে তাদের লাভের পরিমান ও তত বেশী হবে। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সকল কিছুই আপনাকে অনেক বেশী আকৃষ্ট করবে। বিশেষ করে- ব্যাক্তিগত ডেটা থেকে আপনার পছন্দের জিনিস গুলো তারা জেনে নিতে সক্ষম। সে অনুযায়ী আপনাকে বিনোদিত করবে।
যার ফলে আপনি সকল কাজ ফেলে ঢু মারতে চাইবেন ফেসবুকে। এটাকে বিজ্ঞানিরা “সোশ্যাল মিডিয়া ডিজ-অর্ডার” বলে আখ্যায়িত করেন। যেখানে মানুষ কে মারাত্মক ভাবে আকৃষ্ট করতে যা যা প্রয়োজন তারা সেটাই করে।
ফেসবুক আসক্তি কিভাবে ক্ষতি করে
ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো জানার পূর্বে জানা উচিত ফেসবুক আসক্তি কিভাবে আমাদের ক্ষতি করে। সৃষ্টির শুরু থেকেই কোনো কিছুর নেসা ভালো কিছু বয়ে আনেনা। হোক সেটা আপনার ভালো কোনো কিছুর নেসা অথবা খারাপ কিছুর।

আপনি যে কাজটি করুন না কেন সেখানে আসক্তি তৈরি হলেই সেখানে অনেক ক্ষতিকর দিক চলে আসবে। ভার্চুয়াল জীবন আমাদের বাস্তব জীবনের চেয়ে সম্পূর্ন আলাদা। বাস্তব জীবনে একটা মানুষ কে পরিপূর্ণ হয়ে উঠতে হে তার সামাজিক রীতিনীতি, আচার ব্যবহার, পড়াশোনা অনেক কিছুই প্রয়োজন হয়।
যে কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে তার অবসর সময় ছাড়া প্রতিটি সেকেন্ড অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ফেসবুক আসক্তির ফলে প্রচুর পরিমানে সময় অপচয় হয়ে যায়। এভাবে পড়াশোনার মধ্যে গ্যাপ সৃষ্টি হয়। যখন বাস্তব জীবনে আমরা বাস্তবাতার মুখোমুখি হই তখন আমরা প্রচুর পরিমান হতাশায় ভুগতে থাকি।
ফেসবুক আসক্তি মানুষ কে দিন দিন অলসতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। একই সময়ে দেখা যায় যে ফেসবুকে আসক্ত নয় সে অন্য কোনো কাজে এগিয়ে গেছে অথচ যে ফেসবুক আসক্ত সে দিন শেষে কিছুই অর্জন করতে পারলনা। অর্জন তো পরের কথা সে পরের দিন ও কোনো কাজের প্রতি আগ্রহ বোধ করবেনা। কারন তার কাছে ফেসবুক অতি মজার একটি পৃথিবী। যেখানে নেই কোনো বাস্তবতার ছোয়া।
সাধারণত অতিরিক্ত পরিমানে ফেসবুক আসক্ত ব্যাক্তি নিচের দেয়া সমস্যা গুলোতে পরে-
- ইমোশন পরিবর্তন হয়ে যায়। মানুষের আবেগ ধিরে ধিরে পরিবর্তন করে দেয়।
- মানুষিক বিভিন্ন ধরণের সমস্যা দেখা দেয়।
- ব্রেইনের কার্যক্ষমতা হ্রাস পায়।
- ক্রিয়েটিভ চিন্তাধারা লোপ পায়।
- অলসতা বেড়ে যায়।
- আত্ববিশ্বাস এর ঘাটতি দেখা দেয়।
- কোনো বিষয়ের উপর সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে অনীহা দেখা যায়।
- রুটিন অনুযায়ী প্রতিদিন চলতে পারেনা।
- পরিবার কে সময় দেয়া ভুলে যায়।
- চোখের পাওয়ার দিন দিন কমতে থাকে।
- মাথা ব্যথা সহ বিভিন্ন ধরণের শারিরীক ত্রুটি প্রকাশ পায়।
- নিয়মিত খাবার খাওয়ার প্রতি অনিহা সৃষ্টি হয়।
- পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ লোপ পায়।
- বাজে চিন্তা ধারা বৃদ্ধি পায়।
- অপর মানুষের সাথে নিজেকে কমপেয়ার করা শুরু করে।
- দক্ষতা অর্জনের সময় নষ্ট করে দেয়।
- ইনসোমিয়া (অর্থাৎ রাতে ঘুম না হওয়া বৃদ্ধি পায়)
ফেসবুক আসক্তি মানুষের শারিরীক ও মানুষিক স্বাস্থ্য কে ক্ষতিগ্রস্ত করে ফেলে। প্রতিটি মানুষের মাঝে সৃষ্টিশিল চিন্তা ধারা থাকে। ফেসবুকে অসংখ্য নেগেটিভ মানুষের মাঝে নিজেকে সামিল করার মাধ্যমে মানুষের চিন্তা ধারা হতাশায় রুপ নিতে থাকে।
বিভিন্ন ধরণের ডি-মোটিভেট স্টাটাস কিংবা ভিডিও দেখে নিজেকে একা ভাবতে শুরু করে দেয়। যা পরিবার, আত্বীয় স্বজন দের থেকে অনেকটাই দূরে সরে যায়। যার ফলে যখন কঠিন বাস্তবতার স্বীকার হয় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আত্বহত্যার মত কঠিন সিদ্ধান্ত নিতেও তাদের সমস্যা হয়না।
কিভাবে বুঝবেন আপনি ফেসবুক আসক্ত
অনেকেই ভাবেন যে আমি তো কয়েক ঘন্টা ফেসবুক ব্যবহার করি তাতে আর এমন কি আছে। কিন্তু আপনি নিজেও আসক্ত। ফেসবুক এমন একটি স্থান যেখানে আপনাকে আসক্ত করে তুলতে তাদের খুব বেশী সময় নিবেনা। ফেসবুক আসক্তির কয়েকটি লক্ষন দিলাম মিলিয়ে নিন আপনিও আসক্ত কি না –

১- সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই আপনি সবার প্রথম স্মার্ট ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢুকেন সবার আগে।
২- কে কয়টি “হা হা” রিয়েক্ট দিলো কে ‘লাইক’ দিলো এসব সম্পর্কে খোজ রাখা। কেউ “হা হা” দিলে তাকে আবার ‘লাভ‘ রিয়েক্ট দিতে বলা।
৩- দিন দিন নতুন নতুন প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করা।
৪- বিভিন্ন ধরণের ভিডিও দেখা ও শেয়ার করা।
৫- ফেসবুকে অতিরিক্ত পরিমানে মন্তব্য করা।
৬- ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে ঢুকে তাদের মনোভাব পড়া।
৭- আপনার ফোন হাতে নেই। যখনি আপনি নটিফিকেসন এর সাউন্ড শুনলেন তখনি ফোন হাতে নিয়ে ফেসবুকে ঢোকা।
৮- গাড়িতে বসে ফেসবুক ব্যবহার করা।
৯- কোথাও ঘুরতে গেলেন সেখানে সময় কাটানোর জন্য ফেসবুকে স্ক্রল করা।
১০- প্রচুর পরিমানে স্টোরি পোষ্ট দেয়া নিজেকে নিয়ে।
১১- বাস্তবে কথা বলার চেয়ে ফেসবুকে বলাটা ভালো মনে করা।
১২- মেসেঞ্জারে অযথা কাউকে মেসেজ করে সময় অপচয় করা।
১৩- মেসেঞ্জার গ্রুপে আড্ডা দেয়া।
১৪- কোনো কিছ ঘটার সাথে সাথেই সেটা ফেসবুকে এসে জানান দেয়া।
১৫- সামান্য ব্যাপার নিয়ে অতিরিক্ত রিয়েক্ট করা।
১৬- অন্তত একদিন ও ফেসবুক ছাড়া থাকা অসম্ভব হলে।
১৭- রাতে ঘুমাতে যাওয়ার পুর্বেও ঘুম না আসা পর্যন্ত ফেসবুক ঘাটা।
১৮- বাস্তব জগতে সবার মাঝে কথা বলার ফাকে ফাকে ও ফেসবুক ঘাটা।
১৯- কোনো কাজ বা পড়াশোনা করার চেয়ে ফেসবুক ব্যবহার করা কে প্রধান্য দেয়া।
২০- ফোনের শেষ চার্জ পর্যন্ত ফেসবুকে কাটানো।
উপরের দেয়া ২০ টি লক্ষনের মধ্যে যদি আপনার কোনো লক্ষন মিলে যায় তবে “কনগ্রাচুলেসন” আপনিও ফেসবুক আসক্ত। তবে যদি কারো ১০-১৫ টি লক্ষন মিলে যায় তাদের জন্য এটা আসতে আসতে হুমকি বয়ে আনবে। আর যাদের সব মিলে যায় তারা ইতিমধ্যেই বিভিন্ন সমস্যায় আছে। ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় অনুযায়ী কাজ করা তাদের প্রধান কাজ এই মুহুর্তে।
ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায়
ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় গুলো এবার ধাপে ধাপে জেনে নিন। কোনো কিছুতে আসক্ত হওয়া অনেক সহজ। কখন যে আপনি আসক্ত হয়ে পড়বেন সেটা নিজেও টের পাবেন না। কিন্তু আসক্ত কোনো জিনিসের উপর থেকে আসক্তি কমানোর জন্য অনেক সাধনার দরকার হয়।

আপনি যদি কস্ট করে নিচের দেয়া নিয়ম গুলো অনুযায়ী লাইফস্টাইলে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারেন তবে আপনি ফেসবুক আসক্তি থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন-
১- সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম কে শুধু মাত্র অবসর সময়ের সংগী হিসেবে ভাবুন। যখন আপনার দিন কিংবা রাতের সকল রুটিন সম্পন্ন হয়ে যায় তখন নির্দিষ্ট একটা সময় পর্যন্ত ফেসবুকে কাটাতে পারেন।
২- বন্ধুদের সাথে আড্ডা কিংবা কথোপকথন বাস্তবে করার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে গ্রুপে বলে দিবেন আজকে আমরা এই লোকেসনে দেখা করব। চ্যাট করার চেয়ে বাস্তবিক কিছু ভাবুন।
৩- ফেসবুকে অসংখ্য পরিমান নেগেটিভ ফেসবুক পেজ ও গ্রুপ রয়েছে। যা আপনাকে বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে সরিয়ে দিবে। আপনার মনের মধ্যে ভ্রান্ত বিষয় গুলো ঢুকিয়ে দিবে। যার ফলে আপনার মানুষিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। ফেসবুকে শিক্ষনীয় বা আপনি যে কাজ গুলোতে সম্পৃক্ত সে রিলেটেড গ্রুপ পেজ ছাড়া সব কিছু থেকে লিভ নিয়ে নিন।
৪- সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ফেসবুকে ঢুকবেন না। প্রথমে আপনার প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী সকালের নাস্তা করবেন। এর পরে যদি আপনার ফাকা সময় থাকে তখন ঢুকতে পারেন।
৫- ফেসবুকে যে সময়টা অতিবাহিত করেন তার চেয়ে অনলাইনে বিভিন্ন ধরণের কোর্স করে নিজেকে দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে দাড় করাতে পারেন।
৬- নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে বেশি বেশি ভাবুন। সময়ের মূল্য সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করুন।
৭- যদি আপনার অনেক বেশি ফ্রি সময় থাকে এ সময়ে ডিজিটাল মার্কেটিং কিংবা অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম এর পথ গুলো খুজুন ও চেষ্টা করুন।
৮- ফেসবুকে অতিরিক্ত পোষ্ট দেয়া অফ করে দিন। এটা আপনি পছন্দ করলেও অন্যরা করেনা।
৯- আপনার ছবি নিয়ে কেউ আগ্রহী না। তাই দিন দিন নিউ নিউ ছবি প্রদান করার ইচ্ছা বাদ দিয়ে দিন।
১০- আপনি কেন বার বার ফেসবুকে ঢুকছেন যেটা আগে খুজুন। সে কারন অনুযায়ী সেটাকে সমাধান করার পথ খুজুন।
১১- মাঝে মাঝে ২/৩ দিন এর মত নিজের আইডি ডিএকটিভ করে রাখুন। এ সময়ে ভুলেও ফেসবুকে প্রবেশ করবেন না।
১২- পড়াশোনার উপর বেশি ফোকাস দিন। কারো সাথে অতি চ্যাটিং আপনার জীবন কে নরকে ফেলে দিবে। তাই এসব থেকে দূরে থাকুন।
১৩- রাত জেগে কখনোই ফেসবুক ব্যবহার করবেন না। অতিরিক্ত রাত জাগতে জাগতে আপনার মধ্যে ইনসোমিয়া দেখা দিবে। এর পরে কখনোই আপনি অতিরিক্ত রাত হওয়া ছাড়া ঘুমাতে পারবেন না।
১৪- মেসেঞ্জারে চ্যাট হিডস অফ করে রাখুন। নটিফিকেসন অফ করে রাখুন। কোনো গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ কারো দেয়ার থাকলে সে আপনাকে অবশ্যই কল দিবে। তাই আপনার মেসেজ এর রিপ্লে প্রদান করাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে আপনার প্রেমিকা হলে আমার উপদেশ মানার দরকার নেই। হিতে বিপরীত হতে পারে।
১৫- মোবাইল ব্যবহার করার সময় কমিয়ে দিন। প্রতিদিন ১ ঘন্টার বেশি মোবাইল ব্যবহার করবেন না। তাছাড়া প্রয়োজন অনুযায়ী যতটুকু প্রয়োজন হয় সেটুকু করতে পারেন।
উপরে দেয়া ১৫ টি অভ্যাস আপনাকে ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে অনেক সহায়তা করবে। ফেসবুকের যেমন ক্ষতিকর দিক আছে তেমনি ভালো দিক ও আছে। আপনি আপনার কাজের ক্ষেত্রেও ফেসবুক অল্প সময়ের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
ফেসবুক আসক্তি থেকে মুক্তির উপায় – আমরা বলছিনা যে আপনি ফেসবুক ব্যবহার করা ছেড়ে দিন। আমরা বুঝাতে চেয়েছি যে আসক্তি থাকা ভালো নয়। আপনি ব্যবহার করুন সেটা যেন পরিমিত পরিমানে হয়। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো ফল বয়ে আনেনা। ধন্যবাদ সকল কে।
আরো পড়ুন- আকাইদ শব্দের অর্থ কি – আকাইদ কাকে বলে
সাইফুরস এর সকল বই এক সাথে – Saifurs All Books পডফ