আপনি যদি না জেনে থাকেন মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় , তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। গ্রামের দরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। কিছু শর্তসাপেক্ষেতে মাতৃত্বকালীন ভাতা অনেকেই পেতে পারেন। আজকের আর্টিকেলে আমরা জানাবো মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে। যারা মাতৃত্বকালীন ভাতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা জেনে নিন।

মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায়
যদি আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে আবেদন করতে হবে ইউনিয়ন পরিরষদ বরাবর। প্রতি মাসের ১-২০ তারিখের মধ্যে মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন করা যায়। আবেদন করার পর।
প্রতিনিধিগন শর্ত গুলো সরজমিনে চেক করে যদি মনে হয় আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য উপযুক্ত তাহলে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আপনাকে চুড়ান্ত ভাবে নির্বাচন করা হবে।
নিচের আর্টিকেলগুলি দেখতে পারেনঃ
নস্টালজিক এর বাংলা অর্থ জেনে নিন
বিদেশি অনুদান কিভাবে পাব – আবেদন যেভাবে করবেন দেখে নিন
বাংলা থেকে ইংরেজি অনুবাদ কিভাবে করবেন
মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আপনি ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। বর্তমানে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য অনলাইনেও আবেদন করা যায়। অথবা আপনি চাইলে ফর্ম ডাউনলোড করে পূরণের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে পারেন।
মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার শর্ত
মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে কিছু শর্ত দেখে নিতে হবে। এসকল বিষয় গুলো যদি মিলে তবেই আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য নির্বাচিত হবেন। মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় তা সম্পর্কে কিছু শর্ত রয়েছে।
- মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার শর্ত হলো প্রথম ও সর্বোচ্চ দ্বিতীয় গর্ভধারণ হতে হবে।
- বয়স নূন্যতম ২০ বছর হতে হবে।
- নিজের বাড়িতে থাকে অথবা অন্যের বাড়িতে।
- পরিবারের কৃষি জমি বা মাছের পুকুর নেই।
- অবশ্যই দরিদ্র হতে হবে।
- মাসিক আয় ১৫০০ টাকার নিচে থাকতে হবে।
- ব্যাক্তি কে অবশ্যই গর্ভধারিণী হতে হবে।
এ ক্ষেত্রে যদি প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তান গর্ভধারণের দুই বছরের মধ্যে মারা যায় তবে তৃতীয় বার গর্ভধারণ এর জন্য ভাতা পাবেন।
আরো দেখুনঃ
আমার প্রিয় খেলা অনুচ্ছেদ রচনা – সকল শ্রেণী
বিকাশ সিম হারিয়ে গেলে করণীয় – কিভাবে ফিরে পাবেন?
মাতৃত্বকালীন ভাতা করতে কি কি লাগে?
মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার জন্য আপনাকে জানতে হবে মাতৃত্বকালীন ভাতা করতে কি কি লাগে? গর্ভবতী কার্ড করা আর মাতৃত্বকালীন ভাতা দুটো একই জিনিস। মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ পত্রের প্রয়োজন হবে সেগুলো হলো –
- আবেদন কারীর দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পরিবার পরিকল্পনা বা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কর্তৃক মাতৃত্বকালীন সনদ।
- ভুমি কর্মকর্তা কর্তৃক সনদ।
- জন্ম নিবন্ধন সনদ।
- ন্যাসনাল আইডি কার্ড।
- টাকা গ্রহণের মাধ্যম – (বিকাস, নগদ, রকেট ইত্যাদির একাউন্ট নাম্বার।)
মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন
মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন করতে হয়। আপনি চাইলে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদন এর ক্ষেত্রে ব্যাক্তিগত তথ্য, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা, আর্থ সামাজিক তথ্য, পেমেন্টের তথ্য, ছবি ও সাক্ষর দিতে হবে।
অনলাইনে আবেদন করার জন্য নিচের ধাপ অনুযায়ী কাজ করুন –
- ১ম ধাপ – মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন করার জন্য প্রথমে এই লিংকে ঢুকুন – http://103.48.16.6:8080/LM-MIS/applicant/onlineRegistration?fbclid=IwAR3qNKvBNBHk0Es9MJ-iwLUZ0nT8mjWtesISAiWV4RPx8AiTDhcnkRgib5k ঢোকার পরে নিচের মত ফর্ম দেখতে পাবেন।
- ২য় ধাপ – প্রথমেই আপনাকে ব্যাক্তিগত তথ্য দিতে হবে। সঠিক ভাবে ব্যাক্তিগত তথ্য গুলো পূরণ করতে হবে।
- ৩য় ধাপ – বর্তমান ঠিকানা এ স্থানে আপনি বর্তমানে কোথায় আছেন সে সম্পর্কে তথ্য গুলো দিয়ে দিন।
- ৪র্থ ধাপ – স্থায়ী ঠিকানা এই স্থানে আপনি স্থায়ী ভাবে কোথায় বসবাস করবেন সেটা দিয়ে দিন।
- ৫ম ধাপ – আর্থ-সামাজিক তথ্য এর স্থানে আপনাদের আয়ের উতস, কত টাকা আয় হয় বয়স ইত্যাদি সঠিক ভাবে দিয়ে দিন।
- ৬ষ্ঠ ধাপ – পেমেন্টের তথ্য স্থানে আপনি ব্যাংকিং না কি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে টাকা গ্রহন করবেন সেটা দিন ও একাউন্ট নাম্বার দিতে হবে।
- ৭ম ধাপ – ছবি ও সাক্ষর এর স্থানে আপনার ছবি আপলোড করে দিন। ও সাক্ষর এর স্থানে টিপসই ও আপলোড করতে পারবেন যদি আবেদন কারী সাক্ষর দিতে অক্ষম হয়।
যদি এই আর্টিকেল প্রয়োজন হয়ঃ মোবাইলে বাংলা ফন্ট ইন্সটল করার পদ্ধতি – মোবাইলে ফন্ট পরিবর্তন করার নিয়ম


সব গুলো কাজ সম্পর্ন হওয়ার পর “সংরক্ষন” অপশনে ক্লিক করলে আপনার আবেদন করা হয়ে যাবে।
মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা
অনেকেই জানতে চান যে মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা দেয়। যদি আপনি মাতৃত্বকালীন ভাতার জন্য সিলেক্ট হোন তাহলে মাসে ৮০০ টাকা করে ছয় মাস পর পর ৪৮০০ টাকা পাবেন। ৬ মাস পর পর এভাবে দুই বছর পেলে সর্বমোট ১৯,২০০ টাকা পাবেন। যদি ৩ বছরের হয় তাহলে মোট ২৮,৮০০ টাকা পাবেন।
আরো দেখুনঃ
১২০০ টাকার মধ্যে বাটন মোবাইল – 1200 TK button Mobile Phone
স্বাধীনতা শব্দটি কিভাবে আমাদের হলো – কবি নির্মলেন্দু গুন
মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন ফরম
মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদন ফর্ম পূরণ করে ইউনিয়ন পরিষদে জমা দিতে হবে যদি আপনি অনলাইনে আবেদন না করে থাকেন। সে ক্ষেত্রে নিচের লিংক থেকে আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারবেন। লিংক – এখানে
রাউটারের দাম জানুনঃ টিপি লিংক রাউটার দাম – টিপি লিংক রাউটার প্রাইস ইন বাংলাদেশ ২০২৩
শেষকথাঃ
অবশেষে বলতে পারি যে, মাতৃত্বকালীন ভাতা কিভাবে পাওয়া যায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। মাতৃত্বকালীন ভাতা আবেদন ফরম, মাতৃত্বকালীন ভাতা কত টাকা, মাতৃত্বকালীন ভাতা অনলাইন আবেদন, মাতৃত্বকালীন ভাতা পাওয়ার শর্ত এবং কি কি কাগজপত্র লাগে সে সম্পর্কে সুক্ষ্ণভাবে আলোচনা করা চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ।